রমজানে ডায়াবেটিস রোগীদের খাবার

রমজানে ডায়াবেটিস রোগীদের খাবার

রমজানে ডায়াবেটিস রোগীদের খাবার।   ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য প্রচণ্ড গরম ও দিন বড় হওয়াতে এবারের রোজা রাখা বেশ কষ্টসাধ্য হবে। বিশেষ করে শরীরকে হাইড্রেড রাখা বেশ কঠিন হবে। পানি স্বল্পতা যাতে তৈরি না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। প্রচুর পরিমাণে পানি ও পানি জাতীয় খাবার, ফলমূল খেতে হবে। পানিশূন্যতা রোধ এবং শরীরের বিপাক ক্রিয়ার জন্য পানি বা শরবত অপরিহার্য। ডায়াবেটিস রোগীর ইফতার- পানিশূন্যতা এবং শারীরিক বিপাক ক্রিয়ার জন্য বিকল্প চিনি দিয়ে অথবা বিকল্প চিনি ছাড়া ইসবগুল, লেবু, তেঁতুল বা কাঁচা আমের সরবত খাওয়া যেতে পারে। কচি ডাবের পানি, টক ফলের…

পরের অংশ

ডায়াবেটিক রোগীর রমজানের প্রস্তুতি

ডায়াবেটিক

ডায়াবেটিক রোগীর রমজানের প্রস্তুতি।   বর্তমানে ডায়াবেটিস সম্পর্কে ভালোভাবে জানাকেও ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের অন্যতম ব্যবস্থা বলে গণ্য করা হয়। এজন্য কোন কোন অবস্থায় রোজা রাখা ঝুঁকিপূর্ণ তা জানতে হবে এবং কোন প্রকার জটিলতা দেখা দিলে তা কিভাবে সমাধান করতে হবে তা রোগী ও তার পরিবারের সদস্যদেরকেও রমজানের পূর্বেই শিখতে হবে। মনে রাখতে হবে, সবার জন্য একই ব্যবস্থা প্রযোজ্য নয়। প্রত্যেক ডায়াবেটিক রোগীর অবস্থা অনুসারে আলাদা আলাদা ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। রমজানের পূর্বেই ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া খুবই জরুরী। রমজান মাসের রোজার সময় রক্তে সুগারের পরিমাণ স্বাভাবিক রাখার জন্য রোগীর কি কি করণীয় সে…

পরের অংশ

শিশুদের ডায়াবেটিস

শিশুদের ডায়াবেটিস

  অনেকেই মনে করেন ডায়াবেটিস শুধু বড়দেরই রোগ। কিন্তু এ ধারণা ঠিক নয়। শিশুদের ডায়াবেটিস। বিশ্বজুড়ে ১৫ বছরের নিচে ৭০ হাজার শিশুর প্রতি বছর টাইপ-১ ডায়াবেটিস হচ্ছে। ১৪ বছরের নিচে ৪ লাখ ৪০ হাজার টাইপ-১ শিশুর মধ্যে ২৫ শতাংশ রয়েছে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায়। শিশুদের মধ্যে টাইপ-২ ডায়াবেটিস আগামী ১৫ বছরে ৫০ শতাংশ বাড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে। অনেক সময় বাচ্চাদের ডায়াবেটিসে কোন লক্ষণ প্রকাশ পায়না কিংবা মা বাবারা ব্যপারটি খেয়ালই করেন না,তাই বাচ্চাদের একটি বড় অংশ প্রথম অবস্থাতেই খিচুনি,পেট ব্যথা,পানি শূন্যতা এবং অজ্ঞান হয়ে অর্থাৎ কিটো এসিডসিস নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়…

পরের অংশ

ডায়াবেটিস রোগীর সঠিক খাদ্যাভ্যাস বা শৃঙ্খলা বলতে আমরা কি বুঝি –

জীবনে কিভাবে শৃঙ্খলা আনতে হবে, বা কি করলে বোঝা যাবে যে আপনি শৃঙ্খলা মেনে চলছেন- রোগীকে জীবনের সকল ক্ষেত্রে শৃঙ্খলা মেনে চলতে হবে। • নিয়মিত ও পরিমান মত সুষম খাবার খেতে হবে। • নিয়মিত ও পরিমান মত ব্যায়াম বা দৈনিক পরিশ্রম করতে হবে। • পায়ের বিশেষ যত্ন নিতে হবে • শারীরিক কোন অসুবিধা দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। • চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কোন কারনেই ডায়াবেটিসের চিকিৎসা বন্ধ করা যাবে সঠিক খাদ্যাভ্যস • শরীরের ওজন বেশি থাকলে কমিয়ে স্বাভাবিক এবং কম থাকলে টা বাড়িয়ে স্বাভাবিক করা একান্ত আবশ্যক। •…

পরের অংশ

ডায়াবেটিস কেন নিয়ন্ত্রণ করা জরুরী

ডায়াবেটিস কেন নিয়ন্ত্রণ করা জরুরী ডায়াবেটিস একটি মারাত্মক রোগ। কেউ কেউ একে সকল রোগীর জননী বলে। একজন সাধারণ মানুষের সাথে ডায়াবেটিস রোগীর বিপদ তুলনা করলে দেখা যায়- • স্টোক এর ঝুঁকি ডায়াবেটিস রোগীর ৬ গুণ বেশি। • অন্ধত্বের ঝুঁকি ডায়াবেটিস রোগীর ২৫ গুণ বেশি। • হার্ট এটার্ক এর ঝুঁকি ডায়াবেটিস রোগীর ২-৩ গুণ বেশি। • কিডনি বিনষ্টের ঝুঁকি ডায়াবেটিস রোগীর ৫ গুণ বেশি। • পা কেটে ফেলার ঝুঁকি ডায়াবেটিস রোগীর ২০ গুণ বেশি। ডায়াবেটিস অনিয়ন্ত্রিত থাকলে এই ঝুঁকি আরও বহুগুণ বেড়ে যায়। খুব কঠোর ভাবে সুগার নিয়ন্ত্রণ করলে- • হার্ট…

পরের অংশ

একটি পরীক্ষা করে জেনে নিন আপনি ডায়াবেটিসে আক্রান্ত কিনা

একটি পরীক্ষা করে জেনে নিন আপনি ডায়াবেটিসে আক্রান্ত কিনা আপনি যদি আপনার ডায়াবেটিস আছে কিনা জানতে চান তাহলে একটি মাত্র পরীক্ষা করেই তা জানা সম্ভব। অনেকেই র‍্যান্ডম ব্লাড স্যাম্পল বা আর. বি. এস(RBS) পরীক্ষা করে থাকেন। কিন্তু ডায়াবেটিস সনাক্তের জন্য সবচেয়ে সঠিক পরীক্ষার নাম ওরাল গ্লুকোজ টলারেন্স টেস্ট বা ওজিটিটি (OGTT) পরীক্ষা পদ্ধতি- সকালে খালি পেটে একবার রক্ত পরীক্ষা করতে হবে এবং ৭৫ গ্রাম গ্লুকোজ ২৫০ -৩০০ মিলিলিটার পানিতে মিশিয়ে খেয়ে তার ২ ঘণ্টা পর আরও একবার রক্ত পরীক্ষা করতে হবে রিপোর্ট কত হলে বুঝবেন যে আপনার ডায়াবেটিস আছে অথবা…

পরের অংশ