আঁচিল কি ? কেন হয় ? শরীরের কোথায় হয় ? চিকিৎসা কি ?

আঁচিল

আঁচিল কি ? কেন হয় ? শরীরের কোথায় হয় ? চিকিৎসা কি ?   প্রিয় পাঠক, আপনার শরীরে আকারে ছোট, মাংসল বর্ধিত এমন  কিছু কি আছে যেটা কখনো ব্যথা করে না বা চুলকায় না? এটা হতে পারে দেখতে আপনার শরীরের বর্ণের অথবা আকৃতিতে গোলাকার বা লম্বাটে, সাধারণত যেগুলো খুব সরু বৃন্তের মাধ্যমে আপনার চামড়ার সাথে যুক্ত থাকে। তাহলে এই বর্ধিত জিনিস গুলো কি? যদি আপনার শরীরে এরকম কিছু থেকে থাকে, এগুলো  Skin tags । সাধারণ ভাবে আমাদের কাছে ‘আঁচিল’ নামেই বেশি পরিচিত। তাহলে দেরী কেন পাঠক, আজ আঁচিল নিয়েই কথা বলা যাক। চলুন শুরু করিঃ আঁচিল মূলত কি? আঁচিল  আকারে ছোট, এক ধরণের বিনাইন টিউমার ( যে…

পরের অংশ

হেঁচকি বা হিক্কাপ কেন হয়, হলে করনীয়

হেঁচকি

হেঁচকি বা হিক্কাপ কেন হয়, হলে করনীয়   প্রিয় পাঠক, একটু ভেবে বলুনতো আপনার কি কখনো হেঁচকি উঠেছিলো? জানি আপনি কি ভাবছেন,ভাবছেন যে…এটা বলতে কি আর ভাবা লাগে নাকি! হেঁচকি তো সবারই হয়। জি হ্যাঁ, হেঁচকি সবারই হয়। এটা অতি সাধারণ একটা ব্যাপার। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে এই সাধারণ জিনিসটা চিন্তার কারণ হয়ে দাড়ায়। পাঠক চলুন, আজ তাহলে আপনাদের সাথে হেঁচকি নিয়ে কথা বলা যাক… হেঁচকি বলতে মূলত কি বুঝি? “হেঁচকি” শব্দটির ইংরেজি প্রতিশব্দ হচ্ছে “Hiccups”, এটাকে “Hiccough”ও  বলা হয়। আপনি জানেন কি? আপনার দুই ফুসফুস এবং হৃদপিণ্ডের  ঠিক নিচেই গম্বুজ বা প্যারাসুট আকারের বড় বাঁকানো একটি মাংশপেশি আছে, যাকে আমরা Diaphragm বলি। শ্বাস-প্রশ্বাসে সাহায্য করাই এর কাজ আর হেঁচকির শুরুটা হয় এখান থেকেই। হেঁচকির সময় diaphragm হঠাৎ করে সংকুচিত হয় এবং সেই সময় আপনার…

পরের অংশ

একজন মেয়ে শিশুর  কান্না

মেয়ে শিশুর 

একজন মেয়ে শিশুর  কান্না চার বছর বয়স থেকে বাবা বলে জেনে আসা, ডেকে আসা, চিনে আসা লোকটি যখন চৌদ্দ বছরে বয়সে পৌঁছানো সৎ কন্যার শরীরের স্পর্শকাতর অঙ্গে হাত দেন তখন কি উচিত না এই পৃথিবীটার ধ্বংস হয়ে যাওয়া ? বাবা তো বাবা ই ! তাই না ? সৎ বাবা বা সৎ মা— সম্পর্কে ছোটবেলা তে গল্পের বই পড়ে জেনেছিলাম তারা খুব অত্যাচারী হয়। খাওয়া পরা এসবের কষ্ট দেয়। কিন্তু বাবা বলে চার বছর বয়স থেকে ডেকে আসা, যার কোলে পিঠে চড়ে পৃথিবী দেখতে শেখা, স্কুলে বায়োলজিক্যাল ফাদারের নাম না বরং…

পরের অংশ

ডাক্তার হওয়াটাই মনে হয় আজন্ম পাপ হয়েছে

ডাক্তার

ডাক্তার হওয়াটাই মনে হয় আজন্ম পাপ হয়েছে   দিন, ক্ষণ, তারিখ গুলিয়ে ফেলছি! মাথা আউলা হয়ে গিয়েছে চিন্তা করতে করতে, কিভাবে শুরু, কবে, কখন, কোথায় কি হচ্ছে! ডাক্তার হওয়াটাই আমাদের আজন্ম পাপ! ক্লাস ফাইভ, এইট, SSC, HSC তে স্কলারশিপ পেয়েছিলাম। ক্লাস সিক্স থেকে MBBS পর্যন্ত কোন বেতন লাগেনি, বরং স্কলারশিপের টাকা পেতাম। সরকারি স্কুল, কলেজ, মেডিকেলে পড়ালেখা করেছি।BSMMU (স্বায়ত্তশাসিত) তে যখন পড়তে আসি (ততদিনে বিসিএস হয়ে গিয়েছে) তখন সরকার আমাকে ডেপুটেশন দেয়। বেতন পেতাম, সরকারী টাকায় পড়ালেখা শেষ করি। পোস্টিং পাই দেশের অন্যতম সেরা মেডিকেল কলেজ গুলির একটিতে, স্যার সলিমুল্লাহ…

পরের অংশ

শিশুদেরও হতে পারে মানসিক রোগ

মানসিক রোগ

শিশুদেরও হতে পারে মানসিক রোগ   আমাদের সমাজে প্রায় অধিকাংশেরই ধারণা যে. মানসিক রোগ মানেই বড়দের রোগ বা প্রাপ্ত বয়ষ্কদের রোগ। কিন্তু বড়দের মতো শিশুদেরও মানসিক রোগ হতে পারে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরিসংখ্যানে দেখা গেছে যে, বিশ্বের প্রায় ২০ শতাংশ শিশু-কিশোর মানসিক রোগে আক্রান্ত। আমাদের দেশের পরিসংখ্যানেও প্রায় এর কাছাকাছি ফলাফল পরিলক্ষিত হয়েছে। জন্মগত, পরিবেশগত, সামাজিক, জৈবিক ইত্যাদি কারণের প্রভাবে শিশুদের মধ্যে বিভিন্ন ধরণের মানসিক রোগ দেখা যায়। শিশুদের মানসিক রোগের মধ্যে সাধারণ উদ্বেগজনিত রোগ (Generalized Anxiety Disorder), স্কুলভীতি (School Phobia), বিশেষ কিছুতে ভীতি (Specific Phobia), আঘাত পরবর্তী চাপজনিত রোগ (Post-traumatic…

পরের অংশ

খুঁজে ফিরি আমাদের সেই শৈশব

আমাদের সেই শৈশব

খুঁজে ফিরি আমাদের সেই শৈশব   ছেলেবেলায় প্রথম বাসায় টিভি কেনা হয়েছিল যখন আমি ক্লাস ওয়ানে পড়ি।গোটা গোটা হাতের লেখায় আমাকে হলফ নামা লিখতে হয়েছিল। পরীক্ষার সময় টিভি দেখব না। রাত ৮:৩০ এর আগে টিভি দেখতে চাইব না। শুক্রবার কেবল নতুন কুঁড়ি দেখতে পাব।এই সেই! হ্যান তেন বহু কিছু! এত এত শর্ত সাবুদ মেনে অবশেষে আমার শিশু জীবনের অন্যতম খুশির উপাদান সাদা কালো টিভি খানা ঘরে এসেছিল। তখনকার সময়ে আনন্দ ফূর্তি খুশির খোড়াক প্রায় সবার জীবনেই এই সাদা কালো বাক্স খানা,রেডিও তে শোনা ছায়াছবির গান আর আত্মীয় বাড়ীতে বেড়াবার মধ্যেই…

পরের অংশ

স্মার্ট রোগীরা চিকিৎসকের নিকট কি করে বেষ্ট সার্ভিস পেতে পারে জেনে নিন

রোগীরা

স্মার্ট রোগীরা চিকিৎসকের নিকট কি করে বেষ্ট সার্ভিস পেতে পারে জেনে নিন   ক) আপনার প্র‌য়োজন নি‌র্দিষ্ট কোন চি‌কিৎসক না‌কি স‌ন্তোষজনক চি‌কিৎসা~ আ‌গে ফিক্স ক‌রে নিন। ‌ছোটখাট জ্বর,কা‌শি, মাথা ব্যথা, ক‌য়েক ‌দি‌নের রো‌গের জন্য এম‌বি‌বি‌এস চি‌কিৎসক‌দের দেখান। তারাই য‌থেষ্ট। অধ্যাপক স্যার‌দের বা‌র্ডেন কর‌বেননা। প্র‌য়োজ‌নে তারাই আপনা‌কে স‌ঠিক চি‌কিৎস‌কের ‌নিকট রেফার কর‌বে। ন‌চেৎ এমনও হ‌তে পা‌রে আপ‌নি বিনা বা স্বল্প কার‌ণে অযথা বে‌শি কষ্ট কর‌ছেন। খ) পছ‌ন্দের বি‌শেষজ্ঞ সম্প‌র্কে আ‌গেই খোঁজ নি‌য়ে যা‌বেন। এটাই স্মার্ট‌নেস। উ‌নি খুব ব্যস্ত কিনা ‌সেটাও ‌জে‌নে যা‌বেন, কারণ ‌সি‌নিয়ররা ব্যস্ত থাক‌বেন, এটাই স্বাভা‌বিক। স্বল্প সম‌য়ে স‌ঠিক…

পরের অংশ

A Story Of Inspiration – বেঁচে থাকার গল্প

A Story Of Inspiration - বেঁচে থাকার গল্প

A Story Of Inspiration – বেঁচে থাকার গল্প রোজ তো কত হাবিজাবি লিখি। আজ বরং একটা সত্য গল্প শোনাই। একজন মেয়ের জীবনে বারবার হেরে যাবার পরেও সুইসাইড না করে শুধুমাত্র নিজেকে প্রবলভাবে ভালোবেসে এবং নিজের স্বপ্নকে ছুঁয়ে দিবে বলেই প্রচন্ডভাবে বেঁচে থাকতে চাওয়ার গল্পটা বলি। মেয়েটির জন্ম মা বাবার প্রিন্সেস হিসেবে। শহরের সব থেকে ভালো স্কুল কলেজের একেবারে প্রথম সারির প্রথম ছাত্রী ছিল সে।পুরো স্কুল কলেজ জীবনে সে মাত্র একবার ফাইনাল পরীক্ষায় প্রথম হতে পারিনি। বাকী সমস্ত রেজাল্ট কার্ডে এখনো জ্বল জ্বল করে তার ক্রমিক নং— “এক”। পঞ্চম এবং অষ্টম…

পরের অংশ

ফেইসবুকের সুখ অসুখ

ফেইসবুকের সুখ অসুখ

ফেইসবুকের সুখ অসুখ   প্রিয় বন্ধুর মন খারাপ। কারণ জিজ্ঞেস করতেই বলে “জানিনা”। বেশী ঘাটাই না আমি, জানি মন খারাপের সময় পাশে আপন কাউকে লাগে, যে ক্ষতে মলম না দিক অন্তত লবন দিবে না। বললাম, “তোরে দেখলে বোঝা যায় না”। ও হেসে বলে, “ফেইসবুক তো চির সুখের জায়গা! এখানে কোন অসুখ নাই।” বললাম, “কী জানি বাবা,বুঝিনা!” বুঝিনা বললেও আমি বুঝি! হয়তো একটু বেশীই বুঝি! ছোটবেলা থেকেই বেশী বোঝা আমার রোগ, অন্তত সবাই তাই বলে! হুম, আসলেই ফেইসবুক চির সুখের জায়গা। এখানে মানুষ যত্ন করে কষ্ট লুকিয়ে তারচাইতে বেশী যত্ন করে…

পরের অংশ

হাজার পেশেন্ট ভাল হবার চেয়ে একজন পেশেন্ট খারাপ হওয়া অনেক বেশি কষ্টের

ডা. মৃণাল সাহা

হাজার পেশেন্ট ভাল হবার চেয়ে একজন পেশেন্ট খারাপ হওয়া অনেক বেশি কষ্টের   একশ কিম্বা হাজার পেশেন্ট ভালো করে যে তৃপ্তি পাওয়া যায় একটা পেশেন্টের আনওয়ান্টেড খারাপ হওয়া তার চেয়ে অনেক বেশীই কষ্ট দেয়। পেশেন্ট এর খারাপ হবার সাথে সাথে ডাক্তার এর উপর যে মেন্টাল স্ট্রেস পড়ে সেটা ভুক্তিভোগী ডাক্তারই একমাত্র বুঝতে পারেন। এই কষ্টের তুলনা নেই। আজকাল ট্রেন্ড হচ্ছে, ডাক্তারের বদনাম করা, ডাক্তারকে মারধর করা কিম্বা অভিভাবক কর্তৃক অভিযুক্ত হয়ে অপদস্ত হওয়া কিম্বা পত্রিকায় নেগেটিভ খবর হওয়া। অথচ এর চেয়ে অনেক বেশী কস্টের হচ্ছে ডাক্তারের নিজের ভেতরের অন্তর্দহন। কাউকে…

পরের অংশ