পাআআআ মুভিতে অমিতাভ বচ্চনের রোগ টা কি জেনে নিন

পাআআআ মুভিতে অমিতাভ বচ্চনের রোগ টা কি জেনে নিন

প্রজেরিয়া

প্রজেরিয়া বা এইচজিপিএস মারাত্মক ও ভয়াবহ একটি রোগ। আজকাল কম-বেশি সবাই এই নামটির সাথে পরিচিত। আগে কম থাকলেও তুলনামূলক ভাবে ইদানিং এর প্রাদুর্ভাব বেড়েছে বৈ কি। আপনাদের নিশ্চয়ই অমিতাভ বচ্চন অভিনিত পাআআ মুভিটির কথা মনে আছে। জিহা সেখানে অমিতাভ বচ্চন এই প্রজেরিয়া রোগে আক্রান্ত ছিলেন । জেনে নিন প্রজেরিয়া সম্পর্কে ।

এইচজিপিএস মানে হচ্ছে হাচিনসন-গিলফোর্ড প্রোগেরিয়া সিনড্রোম,যাকে সংক্ষিপ্ত ভাবে প্রজেরিয়া বলা হয়। ১৮৮৬ সালে ইংল্যান্ডের ডাঃ জোনাথন হাচিনসন তার এক জার্নালে সর্বপ্রথম এ নামটি ব্যবহার করেন।এটি কোন সাধারণ রোগ নয়; প্রজেরিয়া হল অতি বিরল ও অগ্রগামী ধরণের এক জন্মগত রোগ, যার ফলে শিশুরা জন্মের দুই বছরের মধ্যেই বার্ধক্যে উপনীত হয়। প্রজেরিয়া আক্রান্ত বাচ্চারা জন্মের সময় সুস্থ্য দেখালেও ১০-২৪ মাসে পৌঁছানোর সাথে সাথেই রোগের লক্ষণ প্রকাশ পেতে শুরু করে। এ রোগে আক্রান্ত শিশুদের গড় আয়ু ১৩ বছর। কিছু শিশু ৬-৮ বছরের মধ্যেই মারা যায় আবার কিছু কিছু ক্ষেত্রে ২০ বছর বা তার ও কিছু সময় বেশি বেঁচে থাকে।এটি মানসিকতা বিকাশে কোন প্রভাব বিস্তার করে না।

লক্ষসমূহণঃ

শরীরের তুলনায় বড় আকারের মাথা,বড় চোখ,সরু নাক,পাখির মত ঠোঁট ও ছোট চোয়াল,
বৃদ্ধি (উচ্চতা) রহিত হওয়া,
লক্ষণীয় শিরা,
শরীরে চর্বির ঘাটতি,
চুল পড়ে যাওয়া,
ত্বকের উপরিভাগে বার্ধক্যের চিহ্ন দেখা দেয়া,
গিট বা সন্ধিতে আড়ষ্টতা,
হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা,
স্ট্রোক।

৯০% প্রজেরিয়া আক্রান্ত শিশুরা ল্যামিন এ নামক জিনের পরিবর্তনের কারণে এ রোগের শিকার হয়ে থাকে। ধারণা করা হয় যে ত্রুটিপূর্ণ ল্যামিন এ প্রোটিন নিউক্লিয়াসকে অস্থিতিশীল করে তোলে। এই অস্থিতিশীলতাই প্রজেরিয়া আক্রান্ত রোগীদের অল্প বয়সেই বৃদ্ধ বানিয়ে দেয়।

রোগ নির্ণয়ঃ

সাধারণত উপরোক্ত লক্ষণ গুলোর আলোকে প্রজেরিয়া রোগ নির্ণয় করা হয়ে থাকে। রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে নিশ্চিত ভাবে বলা যেতে পারে যে রোগটি আসলেই প্রজেরিয়া কি না।

চিকিৎসাঃ

এখনো পর্যন্ত প্রজেরিয়া নিরাময়ের কোন চিকিৎসা উদ্ভাবিত হয় নি,তবে গবেষকরা প্রতিনিয়ত চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।

আফরোজা স্বর্ণা

Related posts

Leave a Comment